ঢাকা,শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪

চকরিয়ায় ভালবাসা দিবসে কোটি টাকার ফুল বিক্রি

নিজস্ব প্রতিবেদক :: আজ বিশ্ব ভালবাসা দিবস। আর ফুল ছাড়া তো এই ভালবাসা দিবস উদযাপনের কথা চিন্ত করা যায় না। তাই চাহিদা মেটাতে চট্টগ্রাম, কক্সবাজারসহ দেশের বিভিন্ন জায়গার ব্যবসায়ীরা কক্সবাজারের চকরিয়ার গোলাপ নগর খ্যাত বরইতলী ও হারবাং থেকে আগেভাগেই বিভিন্ন প্রজাতির ফুল কিনে নিয়েছেন। কয়েকদিন আগে থেকেই পাইকাররা আগাম অর্ডারও দিয়ে রেখেছিলেন। এবারের ভালবাসা দিবস উপলক্ষে চকরিয়ার চাষিরা বিক্রি করেছেন বিভিন্ন প্রজাতির অন্তত কোটি টাকার ফুল।

বরইতলী ও হারবাং ইউনিয়নের ফুল চাষিরা চকরিয়া নিউজকে জানান, গোলাপ নগরখ্যাত বরইতলী ও হারবাং ইউনিয়নে প্রায় পাঁচ শতাধিক নারী-পুরুষ শ্রমিক বাণিজ্যিকভাবে সৃজিত রকমারী ফুলের বাগানে পালাক্রমে শ্রম দিয়েছেন। বিশ্ব ভালবাসা দিবসকে ঘিরে ফুল বেচাকেনার ধুম পড়ে যায় এখানে। বিশেষ করে গোলাপ ও গ্লাডিওলাস ফুল বিক্রি বেশি হয়েছে বেশি। এবারও লাভের মুখ দেখেছে চাষিরা।

চকরিয়ার রকমারী ফুলের চাহিদা রয়েছে বেশি চট্টগ্রামের কাজীর দেউরি, চেরাগী পাহাড়, আগ্রাবাদসহ মহানগরের বড় বড় ব্যবসায়ীদের। তারা এখানকার চাষিদের কাছে অন্তত একমাস আগেই নানা রঙের গোলাপ, গ্লাডিওলাস, রজনীগন্ধাসহ রকমারী ফুলের চাহিদা দিয়ে থাকেন। এবারের বিশ্ব ভালবাসা দিবস উপলক্ষেও এর ব্যতিক্রম হয়নি। সেই হিসেবে চট্টগ্রাম, কক্সবাজারসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের অন্তত তিন শতাধিক পাইকার কোটি টাকার ফুলের অর্ডার দিয়ে রাখেন। এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন চকরিয়ার বরইতলী গোলাপ বাগান মালিক সমিতির আহবায়ক মো. মঈনুল হোসেন।

চকরিয়ার বরইতলী থেকে পাইকারি দরে কিনে চট্টগ্রাম মহানগরীর চেরাগী পাহাড় মোড়ে ফুল বিক্রি করেন বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী। তাদেরই একজন সুভাষ দে চকরিয়া নিউজকে বলেন, ‘প্রতিদিন গড়ে ৫-১০ হাজার পিস ফুল কেনা হয় চকরিয়ার বরইতলী থেকে। আর বিশেষ দিবসে তা কয়েকগুন ছাড়িয়ে যায়। এবারের ভালবাসা দিবস উপলক্ষে আগাম অর্ডার দিয়ে প্রায় ৫০ হাজার গোলাপ ও গ্লাডিওলাস ফুল সংগ্রহ করা হয়েছে।’

বরইতলী একতা বাজার এলাকার ফুলচাষি নজির আহমদ চকরিয়া নিউজকে বলেন, ‘আমি একসময় তামাকের চাষ করতাম। তখন মুনাফাও ভাল পেয়েছিলাম। কিন্তু হাড়ভাঙা খাটুনি ও দিন-রাত পরিশ্রমের কারণে শরীরের অবস্থা তেমন ভাল যাচ্ছিল না। তাই অন্যের দেখাদেখিতে তামাক চাষ ছেড়ে গত সাতবছর ধরে উদ্যোগী হই ফুল চাষে। বর্তমানে দুইকানি জমিতে গোলাপ ও গ্লাডিওলাস ফুলের চাষ করেছি। ফলনও ভাল এবং দামও পাওয়ায় বেশ খুশি লাগছে।’

বরইতলী ফুল বাগান মালিক সমিতির আহবায়ক মো. মইনুল ইসলাম চকরিয়া নিউজকে বলেন, ‘বরইতলী ও হারবাং ইউনিয়নের ১২০ একর জমিতে পুরোদমে ফুলের চাষ করছে হাজারো চাষি।

পাঠকের মতামত: